কুরআন সুন্নাহর আলোকে কবীরা গোনাহ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট মুমিন সর্বদা মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কর্ম পরিহার করতে চেষ্টা করবেন। আর হারাম ও কবীরা গোনাহ-সমূহ থেকে শত যোজন দূরে থাকতে সদা সচেষ্ট থাকবেন। আমরা জানি যে, সকল চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু অপরাধ হবেই। তবে ছোটখাট পাপ ও ভুলভ্রান্তি আল্লাহ নেক কর্মের কারণে ক্ষমা করে দেন। এজন্য কঠিন পাপগুলো থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। কবীরা গুনাহের সংজ্ঞা, সংখ্যা ও পরিচয় সম্পর্কে উলামায়ে কিরাম অনেক কথা লিখেছেন। যে সকল পাপের বিষয়ে কুরআন কারীম বা হাদীস শরীফে কঠিন গজব, শাস্তি বা অভিশাপের উল্লেখ করা হয়েছে বা যে সকল কর্মকে কুরআন বা হাদীসে কঠিন পাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোকে কবীরা গুনাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও অনেক পাপকে কবীরা বলা হয়েছে। এছাড়া যে কোনো সাধারণ পাপও সর্বদা করলে তা বড় পাপে পরিণত হয়। ইমাম যাহাবী “আল-কাবাইর” গ্রন্থে কবীরা গুনাহ বিষয়ক আয়াত ও হাদীস সমূহ সংকলিত করেছেন। যে সকল পাপকে কুরআন বা হাদীসে বড় পাপ বা কঠিন শাস্তি, গজব বা অভিশাপের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি সেগুলির তালিকা প্রদান করেছেন। আমি এখানে সেগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করছি। পরে এগুলোর মধ্য থেকে বিশেষ কতগুলো পাপ যা আমাদের নেক কাজগুলোকে বিনষ্ট করে দেয় সেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করব, ইন্শা আল্লাহ। এ সকল পাপ বা অপরাধকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি: ব্যক্তিগত বা হক্কুল্লাহ বিষয়ক ও সামাজিক বা হক্কুল ইবাদ বিষয়ক। যদিও উভয় প্রকার পাপই আল্লাহর অবাধ্যতা ও পরস্পর স¤পৃক্ত, তবুও সংক্ষেপে বুঝার জন্য দু’ভাগ করে আলোচনা করছি: ক. হক্কুল্লাহ বিষয়ক কবীরা গুনাহসমূহ ১. ঈমান বিষয়ক: শিরক, কুফর, নিফাক, বিদ‘আত, আল্লাহর শাস্তি থেকে […]
↧